ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক সংরক্ষণের দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক সংরক্ষণের দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জনউদ্যোগ যশোর। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
জনউদ্যোগ যশোরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ্, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, ট্রেড ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, সনাক যশোরের সভাপতি শাহীন ইকবাল, যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিলস্নুর রহমান ভিটু, বিপস্নবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, নারী নেত্রী আফরোজা বেগম, মহিলা পরিষদের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার কণা, যশোর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, যশোর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ মাসুদুজ্জামান মিঠু, দৈনিক রানারের ডেপুটি এডিটর প্রণব দাস, যুবমৈত্রী জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস, গ্রাম থিয়েটারের জেলা সমন্বয়কারী হাসান হাফিজুর রহমান, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, জনউদ্যোগ সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এটি ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যশোরবাসী এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
নেতারা বলেন, জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল নক্শা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত। এছাড়া যশোরের পরিত্যক্ত রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা জজ আদালত, পৌরসভার জলকল ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ইতিহাস ঐত্যিহের স্মারক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক এই ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ পুরাতন সব ভবন রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।