বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

কৃষককে ধরে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় গোদাগাড়ীর ৫ কর্মকর্তা ক্লোজড

রাজশাহী অফিস ও গোদাগাড়ী প্রতিনিধি
  ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০
কৃষককে ধরে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় গোদাগাড়ীর ৫ কর্মকর্তা ক্লোজড

এক কৃষককে ধরে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের এক আদেশে তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তারা হলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই সত্যব্রত সরকার, আকরামুজ্জামান, এএসআই আব্দুল করিম মিন্টু, মঞ্জুরুল ইসলাম ও রঞ্জু আহমেদ।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর রোববার সন্ধ্যায় তাদের প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ৭টার দিকে গোদাগাড়ী থানার পাঁচ পুলিশ চর আষাড়িয়াদহ গ্রামে গিয়ে আব্দুস সামাদ নামের এক কৃষককে আটক করেন। তার বাড়ি গোদাগাড়ী থানার সীমান লঙ্ঘন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামে।

আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে সামাদকে জানিয়ে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর তাকে একটি ফাঁকা মাঠে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। রাত ১টার দিকে তার পরিবার নগদ ২ লাখ টাকা দিয়ে আব্দুস সামাদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। রোববার বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের নজরে আসে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান পুলিশ সুপার। এরপর ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে রোববার বিকালে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী মোর্ত্তজা আলীর ছেলে সোহানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তারা হলেন প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রেজাউল করিম, এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। তাদেরও প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, পৃথক দু'টি ঘটনায় একদিনে ৯ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার তারা সবাই থানা থেকে ছাড়পত্র নিয়ে পুলিশ লাইনে রিপোর্ট করেছেন।

রাজশাহী পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে