ঘোড়াঘাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কার কেমন সম্পদ

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আগামী ৮ মে ঘোষিত তফসিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করেন। এদের মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. শামীম হোসেন চৌধুরী গত ২২ এপ্রিল তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে বৈধ ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদের মধ্য ৩ জন আওয়ামী লীগের ও ১ জন বিএনপির প্রার্থী। আনারস প্রতীক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শুভ রহমান চৌধুরী (আ'লীগ), মটর সাইকেল প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সারওয়ার হোসেন, কাপ-পিরিচ প্রতীকে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রবিউল ইসলাম (আ'লীগ) ও টেলিফেন প্রতীকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম সরকার (আ'লীগ) নির্বাচন করেছেন। নির্বাচন কমিশনে ৪ জন প্রার্থী হলফনামা দাখিল করেছেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি-কম পাস, তার পেশা কৃষি, কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৬শ' টাকা, দোকান ভাড়া থেকে তার বাৎসরিক আয় ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, নিজ নামে তার নগদ টাকার পরিমাণ ৮২ লাখ ৫১ হাজার ৫৫০ টাকা, স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা, মোটর সাইকেল একটি যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা, বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত ১১ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, মূল্য ৫০ হাজার টাকা, তার বাড়ির আসবাবপত্রের মূল্য ৪০ হাজার টাকা, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষি জমির পরিমাণ-১৪.৪২ একর, অকৃষি জমির পরিমাণ- ৪৬ শতক, রাণীগঞ্জ বাজারে ১৬৯.৫২ বর্গ মিটার সম্পত্তির উপর নির্মিত দোকান রয়েছে, তার নামে মোট ৩টি মামলা হয়। যা পরবর্তীতে আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি হয়। আরেক প্রার্থী সারওয়ার হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস, তার নামে ঘোড়াঘাট থানায় ১টি মামলা রয়েছে যা বিচারাধীন, পেশা-কৃষি ও ব্যবসা, কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় ৪০ হাজার টাকা, ব্যবসা খাত থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রার্থীর উপর নির্ভরশীল আয় ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকার পরিমাণ- ৫ লাখ, স্ত্রীর নামে ২ লাখ, এক লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি মোটর সাইকেল, বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ১০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র দেড় লাখ টাকা, কৃষি জমি ২ একর, অকৃষি জমি ৩৩ শতক, পৈতৃক সূত্রে একটি বাড়ি রয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি পাস তার নামে ১টি মামলা রয়েছে যা বিচারাধীন। কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় ১২ হাজার টাকা, আইনজীবী পেশা থেকে বাৎসরিক আয় ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬শ' টাকা, নিজ নামে নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৮ টাকা, ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত তিন লাখ টাকা, ১টি মোটর সাইকেল ও ১টি প্রাইভেট কার যার মূল্য ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ টাকা এবং পরিবারে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে, আসবাবপত্র ৬০ হাজার টাকার, কৃষি জমির পরিমাণ- ৬৫.৭৫ শতক, অকৃষি ৭০ শতক, ২টি বাড়ি রয়েছে ১টি বাড়ির জমির পরিমাণ- ৫.৮০৮ শতক ও অপরটি ৭ শতক, বাংলাদেশ হাউজিং বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন দিনাজপুর শাখা হতে ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪০ টাকার ঋণ নেওয়া আছে, জামানত বিহীন ব্যক্তিগত লোন ৫ লাখ টাকা। চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম সরকার, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস, তার পেশা ব্যবসা, ব্যবসা খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা, নগদ টাকার পরিমাণ ২০ লাখ, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৭০ হাজার টাকা, পরিবারে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে, আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড ঘোড়াঘাট উপ-শাখা হতে ৩০ লাখ টাকার সিসি ঋণ নেওয়া আছে।