বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ নগদ টাকা বেড়েছে চেয়ারম্যান হুমায়ুনের

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০
ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ নগদ টাকা বেড়েছে চেয়ারম্যান হুমায়ুনের

ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর মোলস্না। এর আগে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর মোলস্না এবার লড়ছেন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, হুমায়ুন কবীর মোলস্নার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। তিনি মেসার্স হুমায়ুন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আলমগীর ব্রাদার্স নেভিগেশন কোম্পানির মালিক। চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে ব্যবসায় বাণিজ্যসহ নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় না থাকলেও বর্তমানে বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। তবে তিনি হলফনামায় স্ত্রীর স্বর্ণ ছাড়া তার ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদের বিবরণী দেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের হলফনামার স্থাবর সম্পদের কৃষিখাত থেকে হুমায়ুন কবীর মোলস্নার বাৎসরিক আয় হতো ৫০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা খাত থেকে কোনো আয় না থাকলেও অন্যান্য খাত থেকে আয় করতেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে ব্যবসা খাত থেকে বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। এছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানি ভাতা পেয়েছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে দেখা যায়, ২০১৯ সালে নগদ কোনো টাকা না থাকলেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র ও স্ত্রীর স্বর্ণসহ মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মালিক ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি নগদ ৭ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকার মালিক। এছাড়াও বর্তমানে তিনি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ তার স্ত্রীর কাছে ১ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে।

পাঁচ বছর আগেও হুমায়ুন কবীর মোলস্না বসুন্ধরা প্রকল্পে ৫৮ লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের ৫ কাঠা অকৃষি জমি ও ২ হাজার ২৮০ বর্গফুটের একটি এপার্টমেন্টের মালিক ছিলেন। এপার্টমেন্টের অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ছিল ২৭ লাখ ৪ হাজার ৮১০ টাকা। এছাড়াও তিনি ১ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের একটি বাড়ির মালিক ছিলেন। বর্তমানেও তিনি এসব স্থাবর সম্পদের মালিক।

মোটর সাইকেল প্রতীকের এই প্রার্থী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কর অঞ্চল-৭ ঢাকার আওতায় ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন।

হুমায়ুন কবীর কারও কাছে ঋণ নেননি। ২০২৪ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার নামে সখিপুর থানায় পাঁচটি মামলা রুজু হয়েছিল। সব মামলা থেকেই তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে