কানাইঘাটে হামলায় ৩ ভাই নিহতের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পরিবার

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের জামে মসজিদের সীমানা জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আপন ভাই-ভাতিজাদের হাতে ৩ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃতু্যর ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার। দীর্ঘদিন পর কানাইঘাটে কোনো সংঘর্ষে একসঙ্গে ৩ ভাইয়ের হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে সর্বত্র আলোচনা। কানাইঘাট থানা পুলিশ ত্রিপল হত্যাকান্ডের ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আনসার সদস্য আলমাছ উদ্দিনসহ অপর আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতদের পরিবার-আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের মৃত আছদ আলীর ৭ ছেলে। তার মধ্যে সমছুল হক পিতার বসত বাড়ি ছেড়ে হারাতৈল মাঝবড়াই জামে মসজিদের পাশে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করেন। মসজিদের সীমানার জায়গা নিয়ে সমছুলের সঙ্গে গ্রামের অনেকের ও তার আপন ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি আবেদন করেন। এর জেরে গত ২২ এপ্রিল মসজিদের ইমামের পাকা ঘর নির্মাণের জন্য সীমানা চিহ্নিত করতে গ্রামবাসীর সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল একমত পোষণ করেন। এতে বড় ভাই সমছুল ও ভাতিজা আলমাছ উদ্দিন, কামাল আহমদ, সুহেল আহমদ, রুহুল আহমদ গংরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। জয়নাল ওইদিন মসজিদের পাশের রাস্তায় যাওয়া মাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাই সমছুল হক ও ভাতিজা আলমাছ উদ্দিন গংরা তার ওপর অকর্তিক হামলা চালায়। তার আর্তচিৎকারে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কুপিয়ে জয়নাল আবেদীনের আপন বড় ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুলস্নাহ ও ওমান প্রবাসী আব্দুলস্নাহসহ আরও ২ জনকে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষের দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ এপ্রিল মারা যান বড় ভাই ছয়ফুলস্নাহ এবং সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ভাই আব্দুলস্নাহ গত ২ মে মারা যান। কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, মসজিদের সীমানার জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আপন ভাই-ভাতিজাদের হাতে পর পর মারা যাওয়া ৩ ভাইয়ের হত্যাকারী ৪ আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।