রাউজানে বাধা থাকলেও বন্ধ নেই কৃষিজমি ভরাট

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রাউজানে আবাদযোগ্য জমি খনন, ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণে প্রশাসনিকভাবে নিষেধ আছে। এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কঠোর হুঁশিয়ারি আছে স্থানীয় এমপির পক্ষ থেকে। প্রশাসনের নিষেধজ্ঞা, এমপির হুঁশিয়ারির মধ্যেও কোনো ইউনিয়নে বন্ধ নেই কৃষিজমি ভরাট কাজ। রাতের আঁধারে প্রতিনিয়ত চলছে জমিতে মাটি ভরাট। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, প্রভাবশালীরা এখন খাল-নালা দখল করে বর্ষার পানিপ্রবাহ পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কৃষি জমি ভরাট ও খাল-নালা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলে আসছেন প্রতিটি সভা-সমাবেশে। স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে নজরদারি করে প্রশাসনকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ আছে, বিষয়টি দেখতে যাদের ওপর তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের রহস্যজনক নীরবতায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা কৃষিজমি ও খাল-নালা দখল করে ভরাট করেই যাচ্ছে রাতে আঁধারে ট্রাকে ট্রাকে মাটি এনে। সম্প্রতি উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় আবাদযোগ্য জমি ও খাল-নালা ভরাটের দৃশ্য। দেখা গেছে পৌর সদরের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের তিনটি খালের মধ্যে দুটিই ভরাট হয়ে আছে। ভরাট হয়ে থাকা কাশখালী খালের বিভিন্ন অংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইটের গাঁথুনিতে পস্নট বানিয়ে দখল করে রেখেছে। পরিদর্শনে দেখা যায় রাউজান থানা রোডে ফকিরহাটের সঙ্গে থাকা ভরাট হয়ে যাওয়া পুরনো কাশখালী খালটি এখন প্রভাবশালীরা খন্ড খন্ডভাবে দখল করে নিয়েছে। অবশিষ্ট রেখেছে খালের ওপর থাকা ব্রিজটির নিচের অংশটুকু। পৌর এলাকার বাসিন্দা মনছুর হাসান অভিযোগ করেছেন, খালের জায়গায় পস্নট বানিয়ে রাখায় এখন এই পথে বর্ষার পানি নামতে পাচ্ছে না। প্রতি বর্ষায় পৌর সদরের বিভিন্ন গ্রাম ডুবিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসে তীব্র স্রোত হয়ে। খালটি দখল হয়ে যাওয়া এখন এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার ফকিরহাটসহ রাউজান থানা চত্বরকে ডুবিয়ে দেয়। সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। তার অভিযোগ, রাউজান পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে কৃষিজমি ও পানি নিষ্কাশনের পথে মাটি ফেলে ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পাহাড়ের পানি নামতে পারছে না। তিনি বিয়ষটি অভিযোগ আকারে জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন। এ বিষয় নিয়ে পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, পৌর সদরে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের তিনটি পথ রয়েছে। কাশখালীর পুরনো খালটি বহু বছর থেকে ভরাট হয়ে আছে। অপর দুটি খাল একাধিকবার খনন করা হয়েছে। এখন দুটি খালে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে ভরাট হয়ে যাওয়া পুরনো কাশখালী খালটি কারা কিভাবে দখল করে আছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।