'গোপালগঞ্জে প্রাকৃতিক গ্যাস আসছে। পায়রা বন্দরের গভীর সমুদ্র থেকে বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল, গোপালগঞ্জ বাগেরহাট হয়ে খুলনায় যাবে এই গ্যাস পাইপলাইন। তবে এ গ্যাস কেবলমাত্র শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হবে। পরিবার ভিত্তিক এই গ্যাস পাওয়া যাবে না। তবে এই গ্যাস লাইনের গ্যাস দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রাধাগঞ্জ প্রস্তাবিত ২০০ একর জমির উপরে নির্মিত ইকোনোমিক জোনে শিল্পকারখানা চালু করা হবে। এছাড়া জেলার অন্যান্য স্থানে গড়ে ওঠা কলকারখানা এই গ্যাস দিয়ে তাদের চাহিদা মাফিক গ্যাস ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূর হবে। অর্থেনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।'
এমনটি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। বিষয়টি জেলা প্রশাসক রোববার বেলা ১১টায় তার কার্যালয়ের হলরুমে এক মতবিনিময় সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম কবির। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুন্সী আতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সিহাব উদ্দিন আজম প্রমুখ।
আরও ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
আয়োজক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ অতিক্রমকারী পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য ৩১.২৫ কি.মি। পাইপ লাইনটি জেলার অন্তর্গত তিন উপজেলা দিয়ে অতিক্রম করবে, উপজেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া এবং টুঙ্গীপাড়া। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়ার্ড ১১-এর খাটরা মৌজা, ওয়ার্ড ১৪-এর বোড়াশী ও তেঘরিয়া মৌজা, ওয়ার্ড ১৫-এর গোবরা মৌজা, গোবরা ইউনিয়নের পোদ্দারের চর মৌজা এবং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সিলনা ও দীঘারকুল মৌজা দিয়ে এ পাইপ লাইন যাবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।