নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত। কোনো প্রভাবশালী (এমপি) নির্বাচনে প্রভাব খাটালে, কমিশন প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারণ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে কোনো আনন্দ নেই, সৌন্দর্য নেই।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চার জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগী কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। ওই সব পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন, আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় আমরা নিব না। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসীন থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের মনে যেন গেঁথে থাকে এবার এমন একটি নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।
নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোনো মাথাব্যথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সঙ্গে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপস্নব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।