শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
উপজেলা নির্বাচন

কুলাউড়ায় কদর বেড়েছে চা-শ্রমিক ভোটারদের!

আবদুল আহাদ, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
  ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
কুলাউড়ায় কদর বেড়েছে চা-শ্রমিক ভোটারদের!

চা-বাগান অধু্যষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলায় চা জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলা। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ছুটছেন চা-শ্রমিক ভোটারদের কাছে। এ সময় শ্রমিকদের কাছে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে দেওয়া হচ্ছে নানা রকমের প্রতিশ্রম্নতি। নির্বাচন-পরবর্তীতে প্রতিনিধিদের দেওয়া প্রতিশ্রম্নতির কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, তা কেবল তারাই জানে।

গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাগানের চা-শ্রমিকদের ভোট প্রায় শতভাগ কাষ্ট হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় সব ভোটেই জয়-পরাজয়ে বড় নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেন এই চা-জনগোষ্ঠী। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের সাড়াশব্দ কম থাকায় বেশ কদর বেড়েছে চা-শ্রমিক ভোটারদের। যার কারণে তীব্র রোদ আর প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে প্রার্থীরা ছুটছেন চা-বাগানের অলিতে-গলিতে।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৮। ১০৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। মোট ভোটারের মধ্যে ছোট-বড় ২৭টি বাগানে চা-শ্রমিকের ভোট প্রায় ৩৮ হাজার। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট কাষ্ট হয় ৯০ সহস্রাধিক। যার সিংহভাগই চা-শ্রমিকদের। ফলে সব প্রার্থীরই টার্গেট চা-বাগান।

এদিকে প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা চলছে ঢিমেতালে। উপজেলা সদরেই কেবল প্রচার-প্রচারণার শোরগোল বেশি। তবে নির্বাচন নিয়ে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গ্রামে ভোটের কোনো আমেজ নেই। মানুষ ব্যস্ত বোরো ধান কাটা নিয়ে। কেবল হাটবাজার কেন্দ্রিক চলছে গণসংযোগ। তাই অনেক প্রার্থীও গ্রামবিমুখ।

কুলাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু (আনারস), সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম (কাপপিরিছ) এবং সহ-সভাপতি কামাল হাসান (মোটর সাইকেল)। এদিকে আঞ্জুমানে আলইসলাহ'র একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ (দোয়াত-কলম)।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মইনুল ইসলাম সবুজ (টিউবওয়েল), চা-শ্রমিক নেতা রাজকুমার কালোয়ার রাজু (চশমা) ও পূরণ উরাং (টিয়াপাখি), খেলাফত মজলিসের মো. সাইফুল ইসলাম কুতুব (তালা) এবং আঞ্জুমানে আলইসলাহ'র আফজাল হোসেন সাজু (বই)।

সংরক্ষিত নারী আসনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস পপি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

সরেজমিন বিভিন্ন চা-বাগান ঘুরে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ চা শ্রমিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় ভোটব্যাংক খ্যাত চা-শ্রমিকদের ভোটেও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা একজনের পক্ষে গেলে পঞ্চায়েতের সাবেক নেতারা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিচ্ছেন। ফলে চা-শ্রমকিদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে