টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ প্রায় ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পাগলা কুকুরটি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রায় ২০ জনকে গুরুতর জখম করে।
আহতরা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপেস্নক্স, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপেস্নক্সে আগত আহতদের ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন উপজেলার নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩২)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপেস্নক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে তৌফিক (৭), গিলাবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা (২৮), গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল (৮), মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল (৩০), চিতুলিয়াপাড়ার মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন (৮), চিতুলিয়াপাড়ার নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম (২), চিতুলিয়াপাড়ার শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম (৩)। এছাড়া রাজাসহ আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত সুজন মন্ডল জানান, 'আমার ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়তে থাকলে আমি এগিয়ে যাই। কুকুরটি লাফ দিয়ে এসে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে।' চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের সেলিম পারভেজ জানান, কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্রগতিতে আক্রমণ করে কামড়াতে থাকে।
আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হলেও ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপেস্নক্সে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আহতদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয় নাই বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সোবহান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, পাগলা কুকুরটি আটক করার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।