আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে গোদাগাড়ী উপজেলার পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন। তাদের মধ্যে মাত্র একজন বিএনপির নেতা। বাকি চারজনই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী পদধারী নেতা।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে প্রচার-প্রচারণায় তুঙ্গে আছেন প্রার্থীরা। ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকৃত দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল।
বয়সে তরুণ এবং অনেক টাকার মালিক সোহেল প্রচারণায় ভোটারসহ সব বয়সি মানুষের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে এত টাকার মালিকানা কিভাবে অর্জন করেছেন বা তার আয়ের উৎস কি তা নিয়ে জানার আগ্রহের কমতি নেই ভোটারদের। মাইকিং, পোস্টার, গাড়িবহর, নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন ও কর্মীদের পেছনে তার মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করার কথা এখন সবার মুখে মুখে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি হলফনামায় নিজেকে আমদানি ও সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি উলেস্নখ করেছেন। বর্তমানে ফৌজদারি মামলা হিসেবে গোদাগাড়ী থানার মামলা নং ৬৮, যা গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে দায়ের হলে গোদাগাড়ী আমলি আদালত-৭ বিচারাধীন অবস্থায় আছে। নিজের নগদ টাকার পরিমাণ এক কোটি দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৭ টাকা ও স্ত্রীর নামে ছয় লাখ টাকা উলেস্নখ করেছেন। আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় চার লাখ ৬২ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৮২ লাখ ৮২ হাজার ১০ টাকা। সম্মানি ভাতা থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা, মৎস্যসহ অন্য খাত থেকে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত নিজের নামে অর্থ জমা আছে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৮, স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা। বন্ড ও ঋণপত্র থেকে আয় ৫৫ লাখ টাকা। বাস-ট্রাকসহ ব্যক্তিগত গাড়ির সম্পদ ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪২ টাকা।
বিবাহ সূত্রে পাওয়া স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৫ ভরি স্বর্ণ। বাসায় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আবসাবপত্রের মূল্য জানা নেই বলে তিনি উলেস্নখ করেছেন। স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৪৫ বিঘা কৃষি জমি যা অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য দুই কোটি ৭৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। অকৃষি জমি চার বিঘা যার অর্জনকালীন মূল্য পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ ৭৭৫০ টাকা। রাজশাহী উপশহরে সাড়ে তিন কাঠা জমিতে ১০ তলা ভবনের চার তলা পর্যন্ত নির্মাণ খরচ এক কোটি ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২৩ টাকা অর্জনকালীয় সময় মূল্য দেখানো হয়েছে।