তাহিরপুরে পাউবো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
উৎকোচ নিয়ে প্রকল্পের বিল ছাড়ছেন, নয়তো তার পিছু পিছু ঘোরাচ্ছেন দিনে পর দিন। এমনই অভিযোগ উঠেছে তাহিরপুরে হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দায়িত্বরত সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। হাওরে বোর ফসল রক্ষা বাঁধের সঙ্গে জড়িত ভুক্তভোগীরা স্থানীয় প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রকল্পের বিল ছাড়াতে পারছেন না। ফলে একাধিক ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন গত ২৫ এপ্রিল পানি মনির হোসেনের ঘূষ দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন সিলেট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুদকে অভিযোগটি করেছেন তাহিরপুর উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের কৃষক তানজিম হাসান সোহাগ। তিনি মাটিয়ান হাওরের ৩৯ নম্বর ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের (পিআইসি) সভাপতি। এ বছর ৩৯ নম্বর পিআইসিতে বরাদ্দের পরিমাণ ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তানিজিম হাসান সোহাগ জানান, প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দিকের বরাদ্দের ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা পেয়ে বাঁধে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দের টাকা আনতে গেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন কাজের অগ্রগতি ভালো না বলে ভয়ভীতি দেখান এবং উৎকোচ দাবি করেন। এক পর্যায়ে হাওড়ের সংকট মুহূর্তে বাঁধের কথা চিন্তা করে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ ছাড়াতে বাধ্য হয়ে তাকে ঘুষ দেন তিনি এবং ২১ লাখ টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা পেয়ে বাঁধের শতভাগ কাজ সম্পন্ন করেন। বাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রকল্পের বকেয়া টাকা ছাড় দিতে গড়িমসি করছেন তিনি। পরে তিনি বাধ্য হয়ে দুদকে এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, 'সভাপতিদের অভিযোগের শেষ নেই। এসব অভিযোগ শুনতে শুনতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে মূলত মাটি ভরাটের কাজটা আমি তদারকি করি। ইস্টিমেট অনুযায়ী যেটুকু কাজ হয় তা সার্ভেয়ার প্রতিবেদনে দেয়, সে অনুযায়ী আমি বরাদ্দের অর্থ ছাড় দেই।' সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, অভিযোগ যেহেতু দুদকে করা হয়েছে তারা তাদের মতো করে বিষয়টি দেখবেন।