হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, 'আমি ঈগলের এমপি, আমার সৌভাগ্য হয়নি নৌকার এমপি হওয়ার। তারপরও আমি সংসদে দাঁড়িয়ে যত দাবি এবং যত কথা বলেছি সবগুলো কথার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। সংসদে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার দোয়া ও আশীর্বাদ পেয়েছি। কারণ সারা জীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করে তাই শিখেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুখে মুখে না হৃদয় থাকতে হবে, রক্তে থাকতে হবে। সাধারণ নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কষ্ট যেখানে হয় সেখানেই দাঁড়াতে হবে।
বুধবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সবাই নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা ও তাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। শুধু শ্রমিক দিবস আসলে পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে লম্বা লম্বা বক্তব্য দেন। সিলেট বিভাগে প্রায় ১৯ জন সংসদ সদস্য চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একবার কি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেননি আমাদের বাগান-শ্রমিকরা না খেয়ে মরে যাচ্ছে। চা-বাগান ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস থেকে বাগান বাঁচান। প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হলো কেন এত বছর কি করলেন তারা। বাটপাড়দের ঠিক করতে আমার মতো কিছু আধা পাগলা এমপি দরকার।'
তিনি আরও বলেন, সংসদে প্রায় মাসখানেক আগে বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্যের একমাসের ব্যবধানে চায়ের দাম ৪০০ টাকা করা হয়েছে। কীভাবে হলো, আমি কি জাদু জানি! প্রতিবাদ করতে হবে। আমি চা শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে ছিলাম। এখনো আছি। আর যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন পাশেই থাকব। যদি মারা যাই তাহলে আমার ছেলেমেয়েদের বলে যাব, তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে থাকে।
চুনারুঘাট উপজেলার মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অডিটোরিয়াম মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকারিয়া আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিতির বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব, মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গল, পুলক রঞ্জন ধর, সম্পাদক, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।