কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের কাজ মন্থর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দ্বিতীয় পর্যায়ের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণের জন্য মো. বদিউজ্জামান ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পাওয়ার পর থেকে কয়েকটি ঘরের কাজ শুরু করেন।
বদিউজ্জামানের মেসার্স বীথি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ নামে দ্বিতীয় ওয়ার্ক ওয়ার্ডারের মাধ্যমে ১১টি গৃহ নির্মাণের কাজ নিলেও দুই-তিনটি ঘরের কাজ অর্ধেকের চেয়েও কম করেছে। প্রতিটি গৃহনির্মাণের প্রাককলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা। প্রকল্প ও বাস্তবায়ন অফিস দুইবার তাগিদ প্রেরণ করেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান ওই দপ্তরের দাগিদকে কিছু মনে করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই উপজেলার প্রায় ইউনিয়নের ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার আবাসন শতকরা ৪০ ভাগ, কোনটা ৫০ ভাগ কাজ করেছে। আবার কোনো গৃহনির্মাণের কাজ এখনও শুরু করেনি বলে নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসনের নজরদারিতাকে মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর মিয়া (৮২) ও ছন্দু মিয়া (৮০) কম বলে মনে করেন। মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর মিয়া ও ছন্দু মিয়া বলেন, 'জনৈক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত বছরের ঈদলু-আজহার সময় কাজ করে গেছেন মাত্র অর্ধেকেরও কম। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের কোন খবর নেই। বর্তমানে আমাদের মতো বাজিতপুর বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বীর আবাসন প্রকল্পের কাজ ও এভাবে চলছে।' তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার তাদের ভালো পরিবেশে থাকার জন্য সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু দেখা যায় প্রশাসনের নজর দারিতা কম হওয়ার কারণে তাদের স্ত্রী-পুত্র নিয়ে বর্তমানে কঠিন পরিবেশ পার করছেন।
বাজিতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল হক বলেন, 'মেসার্স বীথি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজকে পরপর তাগাদা দেওয়ার পরও কোনো কাজে আসছে না। ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনাক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. বদিউজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যাক্রমে সবগুলো আবাসন প্রকল্পের কাজ করবেন।