সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নওদা শালুয়া সড়কের নলকা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের একাংশ ধসে পড়ে গেছে। ভেঙে যাওয়া ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের ৪০ গ্রামের মানুষের। সংশ্লিষ্টরা নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কিছুই হচ্ছে না। প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ভেঙে আছে ব্রিজের মাঝের একাংশ, কিন্তু দীর্ঘদিনেও ভাঙা জায়গায় মেরামত বা নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা হাট-বাজারের পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ ৪০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পার হতে হচ্ছে তাদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি পাঁচ বছর আগে নড়বড়ে হয়ে গেলেও এবারের রমজানের শুরুতেই একাংশ ভেঙে পড়ে যায়। এরমধ্যে দিন রাত মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় আরও দ্রম্নত ভেঙে পড়েছে। এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এখন ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় ব্রিজের ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচা বিছিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটি এখনও নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে পথচারী বা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। ওই ইউনিয়নের
৬নেং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ জানান, 'বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামন্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। তবে যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজের বাকি অংশ ভেঙে মানুষের মৃতু্য ঘটতে পারে।'
পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ব্রিজটি অতি পুরনো। এমপিসহ উপজেলার সব পর্যায়ের মানুষ এই ব্রিজ সম্পর্কে জানেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে। এসে দেখে গেছে। আশা করছি তারা অতি দ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ব্রিজটি পরিদর্শন শেষে বাজেটসহ সার্বিক বিষয়াদি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জনভোগান্তি রোধে নতুন করে একটি ব্রিজ দ্রম্নত নির্মাণ করা হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, ইতিমধ্যে ওই ব্রিজটির যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করছি কাজটি দ্রম্নত বাস্তবায়ন হবে।