নিকলী উপজেলাটি হাওড় অধু্যষিত। উপজেলাটি ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে প্রায় আড়াই লাখ লোকের বসবাস। এখানে প্রায় এক লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে কোনো দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি।
এই উপজেলায় তিনজন প্রার্থী জোড়ে-সোড়ে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুছ ভূঁইয়া জনি, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক লিটন ও এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং শিক্ষানুরাগী মোকারম সর্দার। আপাত দৃষ্টিতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুছ ভূঁইয়া জনির যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। গত ৫ বছর এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা দিয়েছেন। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ।
এদিকে নিকলী উপজেলায় মানবতার দাবিদার ও জনগণের এবং দলমত নির্বিশেষে সবার কাছের লোক বলে সু-পরিচিত মোকারম সর্দার। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নিকলী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট, অনাথদের নিজ অর্থায়নে, বিয়ে-সাদি এবং নিজ ইউনিয়ন দামপাড়ায় তার বাবা মরহুম নূরুল ইসলাম মডেল কলেজ, কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক লিটন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার ভোটাররা বলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুছ ভূঁইয়া জনি, আসাদুল হক লিটন ও তরুণ শিল্পপতি মোকারম সর্দারের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।