আজকের যায়যায়দিন

চলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি। একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে মাটি শুকনা থাকায় দ্রম্নত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।

কৃষি বিভাগের হিসাবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রূপ নিয়েছে। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে শ্যালো মেশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোনো কোনো জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষি আলামিন জানান, খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ। পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমণ। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। যে জমিতে সপ্তাহে তিন দিন সেচ দিয়েই চলত, সেখানে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষিদের দাবি, লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেন মণ প্রতি ১৫০০-১৬০০ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরা চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২-৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শিবচরে সড়ক নির্মাণের দুই মাস না যেতেই ধস