শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
মরে যাচ্ছে মাঠের ফসল

পোরশায় লোডশেডিং ও দাবদাহে জীবন বিপর্যস্ত

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  ০১ মে ২০২৪, ০০:০০
পোরশায় লোডশেডিং ও দাবদাহে জীবন বিপর্যস্ত

নওগাঁর পোরশায় বিদু্যতের ঘন ঘন লোডশেডিং ও তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মরে যাচ্ছে মাঠের ফসল। তীব্র লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি তীব্র দাবদাহে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা উপজেলার মানুষের। রোদের প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। ফলে বিরূপ অবস্থা দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠে।

জানা গেছে, তীব্র দাবদাহে ফসলে পানি দিলেও জমিতে পানি থাকছে না। রোদ ও গরমে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আর তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে ঠিকমতো পানি উঠানো যাচ্ছে না। এছাড়া পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচের জন্য তুলনামূলক প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না নলকূপগুলোতে। বিভিন্ন ধরনের ফসল মরে যাচ্ছে। এর প্রকট প্রভাব পড়েছে উপজেলার তেঁতুলিয়া ও নিতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। সরেজমিন নিতপুর ইউনিয়নের গানইর গ্রামে গেলে কৃষক মনিরুল ইসলাম বাদশা, এনামুল হক, জামাল উদ্দিন ও মোকছের আলী জানান, তীব্র দাবদাহ থেকে বোরো ধান রক্ষা করতে পানি প্রয়োজন। কিন্তু তীব্র লোডশেডিংয়ে পানি ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাদের জমির ধান মরার উপক্রম হয়েছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের জালুয়া গ্রামের সবজি চাষি মতিউর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করে আসছেন। কিন্তু এবারের দাবদাহে তার সবজি ফসল মরে যাচ্ছে। এতে তার অর্ধলাখ টাকা ক্ষতি হবে। তবে এ বছরের মতো তীব্র দাবদাহ তিনি কখনো দেখেননি বলেন। একই গ্রামের সবজি চাষি ছয়ফর জানান, তীব্র দাবদাহে সবজির বাগান কম ক্ষতি হতো যদি লোডশেডিং কম হতো। ঘাটনগর ইউনিয়নের বাজিনাপুকুর গ্রামের কৃষক ইলিয়াস জানান, পানির অভাবে তার প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান মরে যাচ্ছে। এই মহূর্তে বৃষ্টি বা যে কোনোভাবে পানি না পেলে তার ব্যাপক ক্ষতি হবে।

অপরদিকে উপজেলার আম চাষিরা জানান, গভীর নলকূপ থেকে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় পানির অভাবে সদ্য রোপণকৃত এবং দুই-তিন বছর বয়সের আমগাছ মরে যাচ্ছে। আর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী বলছেন তারা। এ বিষয়ে নওগাঁ পলস্নীবিদু্যৎ সমিতি-২, পোরশা জোনাল অফিসে কর্মরত এজিএম আনোয়ার হোসেন জানান, চাহিদার চেয়ে অর্ধেক বরাদ্দ পাওয়ায় তাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তীব্র দাবদাহের কারণে এরকম হচ্ছে এবং বৃষ্টি হলেই এই সমস্যা থাকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও দাবদাহে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে