তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মাদারীপুর, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও ঘাটাইল এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এসব মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানিয়েছেন, মাদারীপুরে মালটানা মাহিন্দ্র গাড়ি উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও দুই পথচারী। সোমবার সকালে সদর উপজেলার পখিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মাহিন্দ্রচালক এনামুল হোসেন (২৫) ও চালকের সহযোগী আরিফ শিকদার (১৭)। নিহত এনামুল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া এলাকার সরাফাত আলী মীরার ছেলে এবং আরিফ মাদারীপুর সদরের মধ্যচক গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফখিরা এলাকার ফারুক হাওলাদারের গ্যারেজ থেকে সহযোগী আরিফকে নিয়ে কাজের উদ্দেশে মাহিন্দ্র গাড়িটি নিয়ে সড়কে উঠছিলেন চালক এনামুল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায়। এতে চালক এনামুল ও তার সহযোগী আরিফের ঘটনাস্থলে মৃতু্য হয়। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইল-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গা এলাকায় রোববার একটি বালুবাহী ট্রাক্টর ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকিব মিয়া (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত রাকিব ওই উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের নরদহি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
জানা যায়, দুপুরে ওই সড়কে নাগরপুর থেকে একটি অটোরিকশা টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে সড়কের নাগরপুর উপজেলার ডাঙ্গা এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌঁছলে অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা রাকিব ঘটনাস্থলেই নিহত ও অটোরিকশা চালক আহত হন।
নাগরপুর থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দুই নম্বর সদর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে গত রোববার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা একাব্বর আলী (৬৫)। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের কস্তুরী পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘাটাইল উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নাতির জন্য খাবার কিনতে বের হন একাব্বর আলী। রাস্তা পার সময় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের শাহপুর নামক স্থানে ময়মনসিংহ অভিমুখে দ্রম্নতগামী একটি পরিবহণ তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কর্ণফুলী নদীর পূর্ব কালুরঘাট ফেরিঘাটের বেইলি ব্রিজে টেম্পুর চাপে পড়ে ফাতেমা তুজ জোহরা (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে পূর্ব কালুরঘাট ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বোয়ালখালী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীল হানিফার বাড়ির মো. হাসানের মেয়ে ও নগরীর হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মনসুর আলম বলেন, নদীর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ফেরি থেকে পাড়ে ওঠার সময় বেইলি ব্রিজে একটি সিএনজি চালিত টেম্পু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রম্নত পেছনের দিকে নেমে আসে। এ সময় ফেরিতে ওঠার জন্য কলেজ শিক্ষার্থীর বেইলি ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। টেম্পুটি বেইলি ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিন বলেন, ঘটনায় জড়িত টেম্পুটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।