হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩, মাদক জব্দ
প্রকাশ | ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
হত্যা ও মাদক মামলার আসামিসহ ৬ জেলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসব ঘটনায় আসামিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। রংপুর, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর, জামালপুরের মেলান্দহ, মাগুরার মহম্মদপুর ও ঝালকাঠির নলছিটি থেকে এই আমামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরে পৃথক অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগর তাজহাট থানাধীন বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ শরবত আলী (৪০) ও বিটুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই এলাকায়।
একই থানাধীন অন্য একটি অভিযানে ছিলিমপুর এলাকা থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ ছিদ্দিক মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মাদক বিক্রির ২০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ। নগরীর আরকে রোডের দর্শনা থেকে এক কেজি গাঁজাসহ রওশন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় (২৬)। তার বাড়ি গাইবান্ধার কঞ্চিপুর এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মাদক মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের তিনটি স্বর্ণের বারসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ৫৮ বিজিবি। রোববার উপজেলার নগরবন্নী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুই ভাই জুয়েল রানা (২৭) এবং সুমন (২৩) সীমান্তবর্তী সুন্দরপুর গ্রামের বদিয়ার মন্ডলের ছেলে।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়ানের পরিচালক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বিজিবির কাছে তথ্য আসে দুই চোরাকারবারি মোটর সাইকেলে সীমান্তের দিকে যাবে ভারতে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নগরবন্নী এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। সে সময় সীমান্তের দিকে আসা একটি মোটর সাইকেল গতিরোধ করে জুয়েল রানা ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দেহ তলস্নাশি করে স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। স্বর্ণের ওজন ৩ কেজি ৫৫৮ গ্রাম। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি বলেন, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চাচা সবুজ মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা ভাতিজা আবদুল হাকিমকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত রোববার বিকালে তাকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার আল-আকসা মসজিদ রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল হাকিম উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের সোলেয়মান হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের সবুজ মিয়া ও গফুর মাস্টারের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ফসলি জমি নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ওইদিন বিকালে হাকিম, গফুর মাস্টারসহ ৮ থেকে ১০ জন সবুজ মিয়া ও হারেছের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাদের কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের মেলান্দহে ১১ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দুরমুট বৈশাখী মেলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা গ্রামের মৃত ফজলু মোলস্নার ছেলে রেজাউল করিম বাদশা (৫৭) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের রহিমের ছেলে উজ্জ্বল শেখ (৪০)।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দুরমুট বৈশাখী মেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
মেলান্দহ থানার ওসি রাজু আহাম্মদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি জানান, মাগুরার মহম্মদপুরে গত শনিবার অভিযান চালিয়ে গাজাসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের আবুল হাশেম সরদারের ছেলে মনিরুজ্জামান সরদার মার্কিন (৩৮) এবং চর কুমরুল গ্রামের গফ্ফার কাজীর ছেলে রাজিব কাজী (২৪)।
থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামে মনিরুজ্জামান সরদার মার্কিনকে ৯০ গ্রাম গাঁজাসহ এবং চর কুমরুল গ্রামের গফ্ফার কাজীকে ৫০ গ্রাম গাজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
নলছিটি (ঝালকা?ঠি) প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার বিকা?লে নলছিটির গোদন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খলিল সুবিদপুর ইউনিয়নের গোদন্ডা গ্রামের ফারুক খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা চলমান আছে।