কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে দেশ-বিদেশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ। রোববার ভোররাতে উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ বস্নকে এ অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলো- কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ বস্নকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২২) এবং একই ক্যাম্পের সি-২ বস্নকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫), সি-৭ বস্নকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩৪), সি-২ বস্নকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ বস্নকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুলস্নাহ (২৫)।
রোববার দুপুরে উখিয়াসহ ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ান অধিনায়কের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমান ( পিপিএম) অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবালের দিকনির্দেশনে ও সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার আরফিন জুয়েলের তত্ত্বাবধানে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক ও বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি ওয়ান শুটারগান ও ১৮ রাউন্ড বিভিন্ন সাইজের গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমান আরও জানান, উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ বস্নকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে সন্ত্রাসীরা অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে, এমন খবরে অভিযানে নামেন এপিবিএন পুলিশের অভিযানিক দল। সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০-১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তলস্নাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিংকালে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার ইমরুল হাসান, ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সরকারি পুলিশ সুপার অংশু কুমার দে।
ক্যাম্পে বসবাসরত সাধারণ রোহিঙ্গারা জানান, আটকরা রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হোসাইন।