এমপিদের এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর
প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
নড়াইল প্রতিনিধি
সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গত শনিবার বিকালে নড়াইল সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্থানীয় এমপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যদি তাদের নিজ এলাকার সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নেন, তাহলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার উপর সাধারণ জনগণের আস্থা আরও বেড়ে যাবে। জনগণ যদি তৃণমূলে ভালো স্বাস্থ্য সেবা পান, তাহলে তারা আর ঢাকামুখী হবেন না। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্য সেবকের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।'
স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের কেউ কিছু বললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন। তিনি বলেন, ভুয়া চিকিৎসায় মৃতু্য বলার রাইট কারো নেই।
কথায় কথায় চিকিৎসকদের উপর চড়াও হওয়ার তীব্র সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্ত্র লাল সেন বলেন, 'চিকিৎসকদের উপর চড়াও হলে তার খবর আছে। ভুয়া চিকিৎসা বলে কোন শব্দ নেই।' তিনি চিকিৎসকদের বলেন, 'আপনারা নির্ভয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যান, আপনাদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার।'
এর আগে ফলক উন্মোচনের পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে নড়াইলের একশ' শয্যা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। এছাড়াও লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে, সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধাক ডা. মো. আব্দুল গফফারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল গফফারের সভাপতিত্বে সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিদ পারভেজ প্রমুখ।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'মাশরাফি বিন মর্তুজা আমার সন্তানের মতো। তার এলাকার স্বাস্থ্য সেবার মান অবশ্যই বৃদ্ধি করা হবে। সে যেভাবে হাসপাতালকে ওন করে, সেভাবে যদি সব সংসদ সদস্যরা ওন করতেন, নিজেরা কিছু হলে বিদেশ না গিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন, তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসত।'