দামুড়হুদায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

২ জেলায় মাদকসেবীসহ সাতজনের কারাদন্ড

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি জানান, দামুড়হুদা সদাবরী খালে অবৈধভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ- অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ৩৫ শতক জমি উদ্ধার করেছে। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সজল কুমার দাস এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালান। গ্রামের প্রভাবশালী আরজুলস্না, পিরু শনে, লিটন শনে, কামাল, জালাল মন্ডল, ওলিউর মাস্টার, গোলাম, কুদ্দুসসহ খালের অংশ বিশেষ জমি দখলে নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেন। উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সজল কুমার দাস, দর্শনা থানার চৌকস পুলিশ সদস্যরা, সার্ভেয়ার, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, এসময় ছিলেন কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উজ্জ্বলসহ গ্রামের গন্যমান্যরা। স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছয়জন মাদকসেবীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন তাদের এই কারাদন্ড দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃত কুন্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, আক্তার হোসেন, তৌহিদ মিয়া ও নজরুল ইসলামকে তিন মাস করে বিনাশ্রমে কারাদন্ড এবং তাজু ফকির ও সোহরাব মিয়াকে ছয় মাস করে বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করে। রাতেই তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়নের ধুরুং খালের বাঁধ সংলগ্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে সৈয়দ মো. মনজুর আলম নামে একজনকে ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সুন্দরপুরের ধুরুং খাল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন। ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ওই ব্যক্তির অপরাধ উদঘাটিত হওয়ায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আসামিকে কারা পরোয়ানামূলে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।