তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ধান শুকাতে ব্যস্ত হাওড়ের কৃষক
প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ধান শুকানো ও চিটা ছাড়ানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওড়পাড়ের হাজার হাজার কৃষক। ধান মাড়াই, খলা কিংবা হাওড়েই কাটছে সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা। পরিবারের ছোট থেকে বড় সবাই কমবেশি ব্যস্ত ধান কাটা, মাড়াই কিংবা শুকানোতে।
আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। সারাদেশে তাপমাত্রার জন্য অস্থিরতা বাড়ালেও শুধু হাওড়পাড়েই তার চিত্র উল্টো। গরম নিয়ে লোকজনের মুখে কোনো হা-হুতাশ নেই। বরং এ সময় প্রতিটিদিনই রৌদ্রোজ্জ্বল দেখতে চায় হাওড়ের প্রতিটি কৃষক পরিবার। বৈশাখের শুরুতে সামান্য শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের মনে কিছুটা হতাশা দেখা দিলেও ধান কাটতে পেরে সেই হতাশাটা কেটে গেছে অনেকাংশে।
বৃহস্পতিবার সকালে শনির হাওড়ে কৃষকদের ধান শুকানো খলায় গিয়ে দেখা যায় শত শত ধানের স্তূপ। কারো ধান শুকানো হয়েছে, এখন ধুলোবালি ও চিটা ছড়ানোর অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার রোদে ধান শুকাতে দিচ্ছেন। অনেকে ইতোমধ্যে ধান শুকিয়ে চিটা ছাড়িয়ে গোলায়ও উঠিয়েছেন।
কৃষক রফিক মিয়া, নুর ইমাম, মোশারফ হোসেনসহ অনেকে জানান, চলতি বছর ফসল ভালোই হয়েছে, বৈশাখ মাসে তেমন বৃষ্টিবাদল হচ্ছে না। তারা অনেকটা স্বস্তিতেই ধান কেটে শুকিয়ে গোলায় তুলতে পারছেন।
উজান তাহিরপুর শনি হাওড়ের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর ৭ একর জমিতে বোরো ধান রোপণ করছেন। ইতোমধ্যে ৪ একর ধান কাটা শেষ। অবশিষ্ট ধান কাটতে আরও দু-একদিন লাগবে। শ্রমিক সংকট ও নিচু জমিতে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেবে যাওয়ায় ধান কাটতে একটু দেরি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস উপসহকারী কৃষি কমকর্তা (শনি হাওড় দায়িত্বরত) শাহীমা আক্তার বলেন, 'সপ্তাহখানেক ধরে সকাল-বিকাল হাওড়ে হাওড়ে ঘুরছি। ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে শুকানো ও চিটা ছাড়ানোর কাজ।'
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার হাসান উদ দৌলা বলেন, এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হাওড়ে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে।