শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর বাজারে গলাকাটা টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের। হাটে উপজেলার কৃষক ও গৃহস্থরা উৎপাদিত খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত টোল মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন গুণ অতিরিক্ত অর্থ গচ্ছা দিতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা এবং মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়কারী কর্মীদের অসদাচরণের শিকার হয়ে হাটবিমুখ হচ্ছেন সাধারণরা।
গোসাইরহাট ইউনিয়নের বটনা গ্রামের মানিক মিয়া (৪২) জানান, 'হাটবার হলে আমি পান-সুপারি নিয়ে বাজারে বিক্রির জন্য বসি। আমার কাছ থেকে আগে ৯০ টাকা নিত। এখন ১৫০ টাকা দিতে হবে।
ডামুড্যা সম্ভুকাঠির সৈকত (৩২) তরমুজ বিক্রেতা বলেন, চটি লাগানোর সময় ইজারাদারের লোক এসে বলে ৬০০ টাকা দিলে তরমুজ বিক্রি করতে পারবে, না হলে চটি লাগানোর দরকার নেই।
বালুরচর খালেক সরদারপাড়া গ্রামের পারভেজ (৫০) জানান, বাকালুর দোকান পাতার সঙ্গে সঙ্গে ইজারার লোকজন এসে ২৫০ টাকা খাজনা নিয়ে যায়। এত টাকা কেন, আগে তো দিতাম ১৮০ টাকা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখন থেকে ২৫০ টাকা দিতে হবে, মন চাইলে দোকান নিয়ে বসবে তার কম টাকা দিতে মন চাইলে ব্যবসা করার দরকার নেই।
পান বিক্রেতা নাসির সরদার বলেন, কোদালপুর বাজারে আগে নেওয়া হতো ১২০ টাকা। এখন তারা দুই হাত জায়গায় ১৫০ টাকা ছাড়া হাট করতে দেয় না। অন্য বাজারের তুলনায় তারা ডাবল টাকা নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাট ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা আলহাজ সরদার জানান, এই হাটে বিগত বছরগুলোতে যে হারে খাজনা আদায় করা হচ্ছিল আমি তার থেকে ৫০ টাকা টোল আদায় করছি। আমাদের তো অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয় না।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, কোদালপুর বাজারের ৩১ জন ব্যবসায়ী বেশি টোল আদায়ের ব্যাপারে একটা অভিযোগ করেছেন। কোনো অনিয়ম হলে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।