সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০ বিঘা ফসলিজমি দখল করে গড়ে তোলা মৎস্য আড়ত উচ্ছেদ ও জমি ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করেছে জমির মালিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন সলঙ্গার রামারচর আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জমির মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুসরাত জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুস ছাত্তার, জমির মালিক রফিকুল ইসলাম, ছদরুল আলম, সরোয়ার সরকার, জামাল মন্ডল, আবু হানিফ, ইকবাল হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রাজিমূল ইহসান, নজরুল ইসলাম ও আবু সাঈদ প্রমুখ। এ ছাড়া জমির মালিকদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাণিজ্যিক বন্দর ও ইতিহাস খ্যাত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় প্রভাবশালী আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চক্র এলাকার সহজ-সরল ও নিরীহ জমির মালিকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ১০ বিঘা ফসলি জমি দখল করে গড়ে তোলেন 'কুতুবের চর সমবায় মৎস্য আড়ত'। পরিকল্পনাবিহীন ও প্রকৃত জমির মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় না করে অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি অনুমোদনহীনভাবে মৎস্য আড়তটি গড়ে তুলে সংঘবদ্ধ চক্রটি পজিশনসহ কাটা সরবরাহের নামে জনপ্রতি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এতে জমির প্রকৃত মালিকরা যেমন সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একইভাবে সরকারও লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।
জানা গেছে, এ বিষয়টি জেলার সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল এবং এ সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জমির মালিকসহ সাধারণ মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে প্রশাসন নজর রাখবে। সেই সঙ্গে সরকারের নীতিমালার আওতায় না আসলে মৎস্য আড়তটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।