যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার যায়যায়দিন পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় 'যবিপ্রবিতে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, ফাঁস হওয়া ছবি নিয়ে গুঞ্জন' শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। যবিপ্রবি জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুর রশিদ এক প্রতিবাদলিপিতে জানিয়েছেন, জিএসটি ও যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছে যে, প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে থাকা কোনো শিক্ষকই প্রকাশ্য অবস্থান করছে না। প্রশ্ন প্রণয়ন সংক্রান্ত রীতি অনুসরণ করেই যথাযথ নিরাপত্তা বলয়ে থেকেই এ কাজে নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দ কাজ করেছেন।' আর প্রশ্নপত্র প্রেরণের খামের যে ছবির কথা বলা হয়েছে, আদতে সেগুলো উদ্বৃত্ত খাম। এগুলো কোনোভাবেই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জিএসটি ভর্তি পরীক্ষাকে বিতর্কিত করতেই এ ছবির কথা উলেস্নখ করা হয়েছে।
তিনি আরও উলেস্নখ করেছেন, 'যবিপ্রবিতে একাধিক স্তরের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, প্রিন্টিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রেরণের কাজগুলো চলমান রয়েছে। জিএসটির টেকনিক্যাল কমিটিও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। জিএসটির অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনর দায়িত্ব পালন করছেন। সুতরাং এ প্রক্রিয়ায় ত্রম্নটির থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যেসব ফেইসবুক পেইজে গুজব ছড়ানো হয়েছে, সেই পেইজের বিরুদ্ধে জিএসটি ও যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।' আর 'আগামী ২৭ এপ্রিল (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।'
প্রতিবেদকের ভাষ্য : যবিপ্রবি'র প্রতিবাদলিপিতে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তার সিংহভাগই উপাচার্যের বক্তব্য হিসেবে সংবাদে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং উপাচার্যের বক্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সম্পৃক্ত অধ্যাপকের ঢাকায় যাতায়াত ও অন্যদের নিরাপত্তা বলয় ভাঙার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই শিক্ষামন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে 'নিরাপত্তাবলয় ভেঙে খামে ঠিকানা লেখার ছবিকে উদ্বৃত্ত খাম বলা হয়েছে। কিন্তু উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেছেন, ওই খামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা লেখা হচ্ছিল। সেই বক্তব্যের রেকর্ড রয়েছে। আর ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ প্রকারান্তরে স্বীকার করেছে, যবিপ্রবি'র এই প্রশ্নপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রচার রয়েছে।
তবে সংবাদে পরীক্ষার সূচি '২৭ এপ্রিল (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৪ মে (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১১ মে (সি ইউনিট-বাণিজ্য)' প্রকাশিত হয়েছে। এটি মূলত সংশোধিত দ্বিতীয় সূচি। এরপর এই সূচি পরিবর্তন করে '২৭ এপ্রিল (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে (সি ইউনিট-বাণিজ্য)' নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ এই এক পরীক্ষার সূচি তিনদফায় পরিবর্তন হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।