হোসেনপুরে বিদু্যতের ভেলকিবাজি
প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের। এছাড়া লোডশেডিংয়ের প্রভাবে ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় অনেক সময় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বিশেষ করে করে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের এ অবস্থা খুবই ভয়াবহ। অনেক গ্রামে ২৪ ঘণ্টায় এক ঘণ্টার বেশি বিদু্যৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগী উপজেলার শাহেদল গ্রামের লাদেন মিয়াসহ অনেকেই জানান, গত সোমবার রাত-দিন মিলে দুই ঘণ্টার বেশি বিদু্যৎ পাননি তারা। বিদু্যতের এমন ভেলকিবাজি উপজেলার অন্য এলাকাতেও। এহেন পরিস্থিতিতে হোসেনপুরের সর্বত্রই লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
হোসেনপুর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার জন্য ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদু্যতের মোট চাহিদা রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট। সেখানে তারা চাহিদার এক তৃতীয়াংশ পাচ্ছেন। এর মধ্যে পৌর এলাকায় চাহিদা রয়েছে আড়াই থেকে পৌনে তিন মেগাওয়াট। তাই উপজেলার ৬টি ফিডার এক সঙ্গে সচল রাখতে পারছে না বিদু্যৎ সংশ্লিষ্ট সাব-স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ফলে অন্য সব ফিডারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই হোসেনপুর পৌর এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা কিছুটা কম হলেও গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি হচ্ছে।
উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, গত রমজান মাসে তাদের সেহরি খেতে হয়েছে মোবাইল ফোনের আলো দিয়ে। বর্তমানে আরও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাইল গ্রামের শামীম আহমেদ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস সব নষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মনে হয় আমরা ভিন্ন গ্রহের মানুষ। অথচ বিদু্যৎ বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে আগের হার মতোই।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সোহেল রানা জানান, কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ও সেচ মৌসুমের কারণে বিদু্যতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ফলে লোডশেডিংয়ের তীব্রতাও বেড়েছে। আমাদের চাহিদা ১৫ মেগাওয়াট হলেও গ্রিড থেকে এখন ৫-৬ মেগাওয়াট পাচ্ছি। তবে বরাদ্দ বেশি পাওয়া গেলে হোসেনপুরে লোডশেডিং থাকবে না।