ফরিদপুরের মধুখালীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের কারণে দূরপালস্নার যানবাহন ভায়া মহম্মদপুর সড়ক ব্যবহার করছে। মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপলস্নীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই মুসলিম নির্মাণ শ্রমিককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালীতে কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে দীর্ঘ চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন কোম্পানির দূরপালস্নার যাত্রী পরিবহণ এবং অন্যান্য যানবাহন মাগুরার মহম্মদপুর রুট ব্যবহার করে। ঢাকা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলার যানবাহন ফরিদপুরের মাঝকান্ধি ও সাতৈর বাজার হয়ে মহম্মদপুরের শেখ হাসিনা সেতু পার হয়ে মাগুরায় ওঠে। একইভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন কোম্পানির দূরপালস্নার যাত্রী পরিবহণ মাগুরা থেকে মহম্মদপুরের বিনোদপুর নবগঙ্গা ব্রিজের ওপর দিয়ে এসে উপজেলা সদরের মধুমতী নদীর শেখ হাসিনা সেতু হয়ে ফরিদপুরের সাতৈর থেকে বিভিন্ন রুটে চলে। ফলে ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয় মাঝকান্দি, সাতৈর ভায়া মহম্মদপুর-মাগুরা সড়ক।
ফরিদপুরের মধুখালীর উপজেলার সংবাদকর্মী মনিরুজ্জামান মন্নু জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্য সেখানে মোতায়েন রয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পঞ্চপলস্নীতে দুইজন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্তপূর্বক প্রকৃত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উলেস্নখ্য, মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে পঞ্চপলস্নীতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই মুসলিম নির্মাণ শ্রমিককে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। নিহত নির্মাণ শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) এবং তার ভাই আশাদুল (১৫)। পরে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনার সঙ্গে ওই নির্মাণ শ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।