শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দুর্গন্ধ ও মশা-মাছিতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

ধামরাইয়ে আবাসিক এলাকায় অর্ধশত মুরগির খামার

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ঢাকার ধামরাইয়ে আবাসিক এলাকা মালঞ্চ গ্রামে নোংরা পরিবেশে গড়ে ওঠা পোল্ট্রি ফার্ম -যাযাদি

ঢাকার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামে বসতবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ঘেঁষেই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক লেয়ার মুরগির খামার। এ খামারের দুর্গন্ধে আর প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসলিস্নরা। তাদের অভিযোগ, মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্যের অসহনীয় দুর্গন্ধে বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না তারা। পুরো গ্রামে ভনভন করছে মশা-মাছি আর নড়াচড়া করছে বিষ্ঠা থেকে জন্ম নেওয়া পোকা। এতে পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এসব মুরগির খামার দ্রম্নত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের মালঞ্চ গ্রামে গড়ে উঠেছে অধিকাংশ মুরগির খামার। এসব খামারে প্রায় ৪৫ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। খামারগুলোর আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। নড়াচড়া করছে কিট পতঙ্গ, ভনভন করছে মাছি ও মশা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনোরকম ছাড়পত্র ছাড়াই ৪-৫ বছর আগে বসতবাড়ি, জামে মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাইস মিল ঘেঁষে এসব লেয়ার মুরগির খামার গড়ে ওঠে। এতে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় রাসেল বুচাই শাহাদাত মাস্টারসহ অনেকে বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে এমনিতেই প্রচন্ড গরম। তার মধ্যে মুরগির খামারের দুর্গন্ধে ও মশা-মাছির কারণে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। মসজিদে নামাজ পড়তে পারছি না। এসব মুরগির খামার বসতবাড়ি, জামে মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাইস মিলের পাশ থেকে সরিয়ে নিতে বলা হলেও খামার মালিকরা কোনো কর্ণপাত করছেন না।

আব্দুল গফুর ওরফে আব্দুল গাফফারের একটি মুরগির খামারের শ্রমিক রশিদা আক্তার বলেন, গরমের কারণে একটু দুর্গন্ধ বেড়েছে। তাই খামার থেকে একটু দূরে পাকা সড়কে এসে বিশ্রাম নিচ্ছি। তবে আমাদের মালিক প্রতি মাসেই খামারে বিষ স্প্রে করে থাকেন।

মুরগির খামার মালিক আব্দুল গাফফার সাংবাদিকদের বলেন, মুরগির খামারের দুর্গন্ধ যাতে না আসে তার জন্য প্রতিমাসেই বিষ ও সার স্প্রে করা হয়। ফলে দুর্গন্ধ তেমন আসে না।

ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জাহান সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাবাসীর ক্ষতি হোক এমন স্থানে ফার্ম করা যাবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের প্রধান ডা. নুর রিফফাতরা জানান, বর্তমানে প্রচন্ড গরম পড়েছে। এতে যদি খাবারে মাছি বসে তাহলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে