বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে ২৫ গ্রামবাসীর ঝুঁকিতে পারাপার

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো -যাযাদি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর বাজারের পাশে বংশাই নদীতে ব্রিজ না থাকায় মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার প্রায় ২৫ গ্রামের বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, মির্জাপুর উপজেলার ৩ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বংশাই নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনো তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ব্রিজ না থাকায় থলপাড়া, বানকাটা, পালপাড়া, সুতানরি, গোবিন্দপুর, বন্যাতলী, গোড়াকি, তেঘুরি, ভাতকুড়া, সোনারচর, পারদীঘি, কাঞ্চনপুর, হিলড়াসহ আশপাশের প্রায় ২৫ গ্রামের লোক নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার লোকজনও ওই বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল। জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে এতদাঞ্চলের মানুষদের ১০-১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরতে হয়। ফলে এ এলাকার লোকজনদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ঝুঁকি নিয়ে অধিক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, বংশাই নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া জানান, ফতেপুর ইউনিয়ন অত্যন্ত অবহেলিত। বিশেষ করে নদী ভাঙনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। ফতেপুর বাজারের পূর্ব পাশে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ অতি জরুরি। বিষয়টি স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি আলোর মুখ দেখেনি। মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় বংশাই নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট তৈরির অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ জানান, ফতেপুরে একটি ব্রিজ জরুরি বিবেচনায় নিয়ে তিনি কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ডিও লেটার দিয়েছেন। আশা করছেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্থানে দ্রম্নত ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।