তীব্র তাপদাহের সঙ্গে গরম বাতাস বইছে। প্রচন্ড গরম, কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একের পর এক জারি করা হচ্ছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তেস্কার) আদায় করা হয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক অফিস, স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
খুলনা অফিস জানায়, খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেছে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ। নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন খুলনা গোয়ালখালী ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। এতে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নামাজ পড়তে আসেন মুসলিস্নরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মুফতি ইমরান হোসাইন, খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা এ এফ এম নাজমুল সউদ, প্রচার সম্পাদক মোলস্না মিরাজুল হক। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আলস্নাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসলিস্নরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসলিস্নরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার। আলস্নাহ তাআলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।
স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে অসহনিয় রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আলস্নাহর কাছে পানাহ চেয়ে জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এ নামাজ সব শ্রেণি-পেশার মুসলিমরা অংশ নেন।
ইস্তেস্কার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা নুরুদ্দীন। নামাজ শেষে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা দাবদাহ থেকে আলস্নাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়। নামাজ শেষে অনাবষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা বশির আহমেদ।
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় মরতে শুরু করেছে কৃষকের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণিকুল। তাই বৃষ্টির আশায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছে শত শত মানুষ।
মঙ্গলবার সকালে বড়খাতা ব্যবসায়ীদের আয়োজনে উপজেলার বড়খাতা হাইস্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রচন্ড গরম, তীব্র তাবপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য ক্ষমা ও বৃষ্টির চেয়ে দোয়া করছেন তারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারি মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদা সাদী, খতিব নুরানি জামে মসজিদ, বড়খাতা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণিকুল সে কারণে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছি।