ইন্টারনেটের ব্যবসা নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কথা কাটাকাটি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের পুরাসুন্ধা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় নূরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসহাক আলী সেবন ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী জুনায়েদ তালুকদারের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইন্টারনেটের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রোববারের ঝগড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষই একে অন্যের ওপর ইটপাটকেল ও বিভিন্ন রকম দেশীয় অস্ত্র ছুড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নূরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, শিমুল, জসিম, খোকন, শেখ সোহাগ, সোহেব, সায়েব আলী, মোতাব্বির হোসেন সোহাগ, মাসুক, রুবেল, খেলু, হেলন মিয়া, সারাজ মিয়া, লস্কর মিয়া, কাপ্তান, কামাল, আলমগীর, লিলু, সিরাজ, এমরান ও আকল আলী, জুনায়েদ তালুকদার, নজরুল তালুকদার, রতন তালুকদার, শাহজাহান তালুকদারকে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী সেবন বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবসা সংক্রান্ত কথা কাটাকাটির জেরে জুনায়েদ তালুকদারের লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক আহত হয়েছে।
তবে জুনায়েদ তালুকদার বলেন, আমাদের ওপর আগে প্রভাব কাটিয়ে হামলা চালায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী সেবনের লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।