কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বরকলের নৌযাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কাপ্তাই লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে বরকল উপজেলা থেকে হরিণা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বরকল হয়ে হরিণা বাজার পর্যন্ত লঞ্চ যেতে পারছে না। অনাবৃষ্টি, খরা, তলদেশ ভরাটসহ পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে হ"াস পেয়ে কাপ্তাই হ্রদ এখন প্রায় জীর্ণ জলাশয়। অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে নৌযান চলাচল পথে। যার কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়িতে লঞ্চ চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। ফলে পানি পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রায় ২ লাখ মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এদিকে জেলা সদর থেকে বরকলের হরিণায় প্রায় তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগে বিভিন্ন নৌকায়। অন্যদিকে, শিশু ও গর্ভবতী মা-বোনদের যে হারে কষ্ট হচ্ছে তা না দেখে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। প্রতি বছর এই সময় এ উপজেলার মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকে না। বরকল ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি মো. আব্দুল জলিল জনান, হরিণা বাজার ঘাট ও জোনসংলগ্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন স্থান ভূষণছড়া, এরাবুনিয়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকা, বালির চর জাগায় ছোট নৌকা ও বার্মা ট্রলার চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এসব এলাকায় গত কয়েক মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নিত্যপণ্য খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, মুদি দোকানের মালামাল, জরুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকার উপক্রম হয়েছে। শুধু বরকল হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অচিরেই এই দুর্ভোগ লাঘব করতে নদী খনন জরুরি। অথবা বিকল্প উপায় সরকারকে বের করতে হবে। এদিকে রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জেলা সদর রিজার্ভবাজার থেকে এখন অনেক লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তারা লঞ্চ নিয়ে বড়ই বিপদে আছেন। প্রতি বছর এই মৌসুমে হ্রদে পানি কমে গিয়ে ডুবন্ত চর জেগে ওঠে। ফলে এ সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও কাপ্তাই লেক বরকলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে নৌ-মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার উদ্যোগ নিতে হবে।