রংপুরে সরকারি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত
প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে তিন শতাধিক সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃতু্য, বদলি, অবসরজনিত কারণসহ নানবিধ কারণে এমন সংকট দেখা দেওয়ায় পাঠদান ও দাপ্তরিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নানা কারণে প্রধান শিক্ষকের এতগুলো পদ খালি হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩০৮টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে মিঠাপুকুরে ১০২টি, পীরগাছায় ৪৪টি, কাউনিয়ায় ৪৪টি, বদরগঞ্জে ৩৯টি, গঙ্গাচড়ায় ৩৫টি, রংপুর সদর ও সিটি এলাকায় ২৪টি, পীরগঞ্জে ১৫টি এবং তারাগঞ্জে ৫টি রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শূন্য আসনে শতকরা ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। বাকি ৬৫ শতাংশ শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু নিয়োগের পদোন্নতি ধীরগতি দেখা যায়। এতে বেকায়দায় পড়েছে প্রাথমিক স্কুলগুলো। কিছু ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাতে সংকট কাটছে না।
সূত্রমতে, সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অবসরজনিত কারণে প্রধান শিক্ষক পদটি প্রতিনিয়ত শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অবসরের গতির তুলনায় পদোন্নতি ও সরকারি নিয়োগের বিষয়টি অনেক কম। এমন দীর্ঘসূত্রতার কারণে শূন্য পদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক বাড়ছে। এতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদটি যদি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকে তাতে লেখাপড়া ব্যাহত হয়ে থাকে। ব্যাঘাতের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ছাড়া ৪ জন করে শিক্ষক রয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাদের প্রায়ই উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং নানা প্রশাসনিক কাজ করতে হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের অধিকাংশ নারী হওয়ায় তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রশিক্ষণসহ নানা কারণে ছুটি কাটাতে হচ্ছে। ফলে গোটা স্কুলের দায়িত্ব ২ জন শিক্ষকের ওপর পড়ে। এর পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বে থাকার কারণে কেউ কেউ তাদের নির্দেশ মানেন না।
রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃতু্য বদলি, অবসরজনিত কারণসহ নানা কারণে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সমস্যা সমাধানে শূন্য পদে প্রধান শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মহাপরিচালক, সচিব ও মন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। তারা দ্রম্নত নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।