অতিরিক্ত গরমে ও বিদু্যৎ বিভ্রাটে মানুষ অতিষ্ঠ

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। সেই সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। ফ্যান ঠিক করতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রির দোকানে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, গরমে অতিষ্ঠ নীলফামারীর সৈয়দপুরের মানুষজন তাদের পুরনো নষ্ট ফ্যান ঠিক করতে ভিড় জমাচ্ছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রির দোকানগুলোতে। কিন্তু, বিদু্যতের ঘন-ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সময়মত ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা ফ্যান ঠিক করে ডেলিভেরি দিতে পারছেন না। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। তারা দ্রব্যমূল্যের বাজারে নতুন ফ্যান কিনতে পারছেন না। এর ওপর লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে পুরনো নষ্ট ফ্যান ঠিক করতেও তাদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এ নিয়ে কথা হলে দুর্ভোগে পড়া মানুষজন ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা জানান, এমনিতেই এবারের গরমের তীব্রতা বেশি। এর ওপর ঘন-ঘন লোডশেডিং সবাইকে অস্থির করে তুলেছে। এ ব্যাপারে নেসকোর সৈয়দপুরের আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী) মেহেদি হাসান জানান, লোডশেডিং গ্রিড থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে। বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, অতিরিক্ত গরমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দিনে-রাতে অন্তত ৫০-৬০ বার বিদু্যৎ বিভ্রাটে আছে বাণিজ্যিক ও সাধারণ গ্রাহক। এ কারণে বিপিডিপি ও আরইবির কয়েক লাখ গ্রাহক অতিষ্টের মধ্যে আছে। কখন বিদু্যৎ যায় ও কখন আসে, এর ঠিক নেই। বিদু্যৎ গ্রাহকরা বিদু্যৎ না পেয়েও মাসের পর মাস ভুতুরে বিদু্যৎ বিল দিচ্ছে ঠিকই। এরপরও এই দুটি বিভাগের কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদু্যৎ চলে যায়। বিদু্যৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, বাণিজ্যিক গ্রাহকরা বিদু্যৎ না পাওয়ার কারণে তাদের ব্যবসায় লোকসান গুণতে হচ্ছেগত কিছুদিন আগে বিদু্যতের দাম বাড়ালেও বিদু্যৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। অন্যদিকে এই অতিষ্ট গরমে বিদু্যৎ না থাকায় শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে বিদু্যৎ না থাকায় ভর্তি রোগীদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে।