সমাজসেবা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ভোগান্তি থেকে নিস্তার ৮ পরিবারে
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার তিতাস উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে লোন নেওয়ার টাকা পরিশোধ করার পরও দেড় বছর ধরে ভোগান্তির শিকার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের ৮টি হিন্দু পরিবার। বৃহস্পতিবার অফিস পরিদর্শনে আসা কুমিলস্না জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে উক্ত ভোগান্তি থেকে পরিবারগুলো নিস্তার পায়।
জানা যায়, উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উত্তর দুর্গাপুর পলস্নী মাতৃ কেন্দ্রে ২০২২ সালে ফেব্রম্নয়ারিতে আটটি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে লোন দেয় উপজেলা সমাজসেবা অফিস। একই বছরের পরবর্তী মাসের ১০ তারিখে পরিবারগুলো তাদের লোনের প্রথম কিস্তি ৩ হাজার ৩শ টাকা পরিশোধ করেন। যার কিস্তি আদায় রশিদ গ্রাহকদের দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিমাসে অফিসের ফিল্ড সুপার ভাইজার শামীমা আক্তার ও সহকারী সমাজসেবা অফিসার মো. ছালাহউদ্দিন শিকদার কিস্তি আদায় করলেও উক্ত টাকা ব্যাংকে জমা দেয়নি। শামীমা আক্তার অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় সেখানে নতুন ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. মোসলেম উদ্দিন উক্ত কেন্দ্রের কিস্তি বকেয়া আছে বলে দুর্গাপুর গ্রামের নদী রাণী দাস, প্রিয়াংকা রাণী দাস, কল্পনা রাণী দাস, ডলি রাণী দাস, মায়া রাণী দাস, স্বপ্না রাণী দাস, পুষ্প রাণী নমঃ ও চিনু রাণী দাসকে তাগাদা দিতে থাকেন। কিন্তু তাদের কাছে কিস্তি আদায়ের রশিদ না থাকায় এতদিন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
উক্ত কেন্দ্রের সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করা নদী রাণী দাস বলেন, 'লোন নেওয়ার পর প্রতি মাসে আমরা কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছি। দেড় বছর আগে আমাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।'
উপজেলা সহকারী সমাজসেবা অফিসার ছালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। এটা শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সেতারুজ্জামান বলেন, 'সম্পাদিকাদের টাকা আমার ও ইউএনও স্যারের যৌথ একাউন্টে জমা আছে। একটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধ করা হবে। '
উপজেলা সমাজসেবা অফিস পরিদর্শনে আসা জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক জিএম মিজানুর রহমান খানকে বিষয়টি অবহিত করলে, তিনি তাৎক্ষণিক উভয়পক্ষকে ডেকে তাদের কথা শোনেন। মো. ছালাহউদ্দিন টাকা ব্যাংকে সমন্বয় হয়েছে বলে জানান। তখন উপ-পরিচালক সদস্যদের কিস্তি পরিশোধ হয়েছে মর্মে অব্যাহতি দিয়ে তাদের দ্রম্নত ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।