ফরিদপুরে মধ্যরাতে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ২৩টি ট্রাক ও ৮টি এস্কেভেটর জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার গভীর রাতে শহরের ধলার মোড় শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু কাটার কাজে জড়িতরা এস্কেভেটর ও ট্রাকগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
মধ্যরাতে শতাধিক ডাম্প ট্রাক ও এস্কেভেটর দিয়ে পদ্মা নদীর ফরিদপুর শহরের ধলার মোড় এলাকায় শহররক্ষা বাঁধ ঘেঁষে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পুলিশ ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলাম জানান, জব্দ ড্রাম ট্রাক ও এস্কেভেটর মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে বেআইনিভাবে স্থাপিত ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থা জারি করে দেওয়া নির্দোষ অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনার দায়ে একটি ভাটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হাইকোর্টের এক রিটের প্রেক্ষিতে এ স্থিতাবস্থার আদেশ দেন আদালত। আদালতের নির্দেশ পেয়ে গত ৮ এপ্রিল ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন ওই ইটভাটাকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সাইনবোর্ড টানিয়ে নোটিশ জারি করেন। এরপরও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত বুধবার ফায়ার সার্ভিস এবং এস্কেলেটরের সাহায্যে ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসিল্যান্ড মানষ চন্দ্র দাস এবং রামগতি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দাস। গত ১২ মার্চ আদালতে বাদী হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন আমির হামজা। ইটভাটাটি হচ্ছে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর নেয়ামত গ্রামে মোহাম্মদ আলী (এমডিএবি) ব্রিকস্।