মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ইছামতী নদীর উপর নির্মিত স্টিলের তৈরি বেইলি সেতুর পাটাতনে ধসের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও যাত্রীদের। এতে ঝুঁকিপূর্ণ এই বেইলি সেতুতে যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, অভিযোগ মানিকগঞ্জ-ঝিটকা-হরিরামপুর আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও যাতায়াতকারীদের।
লেছড়াগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সুশান্ত সাহা বলেন, 'বেইলি ব্রিজের মধ্যে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে আছে। সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের সময় পাটাতন দেবে যাচ্ছে। বিকট শব্দও হচ্ছে। নড়বড়ে পাটাতনের মধ্যে তিনটি পাটাতন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইজিবাইক, ট্রাক, পিকআপ, সিমেন্ট বোঝাই যানবাহন, মাহিন্দ্র, বালু ও ইট বোঝাই কাকড়া গাড়ি, নসিমন, করিমন সেতুতে উঠলেই যানবাহনসহ পাটাতনটি এক পাশে কাত হয়ে যায়। এতে পাটাতনটি ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান এই ব্যবসায়ী। তবে এর পাশেই একটি নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বেইলি ব্রিজটি ২৫-২৬ বছর আগে নির্মিত। তবে অনেকদিন ধরে সেতুর মধ্যে কয়েকটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। গত ফেব্রম্নয়ারি মাসেও একবার একটি পাটাতন মেরামত করেছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।পরিবেশ সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গ-এর সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সামান্য ছোট যানবাহন উঠলেও সেতুর পাটাতন কাত হয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। ইজিবাইক চালক অসিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ৬-৭ শতাধিক ইজিবাইক চলাচল করে। এছাড়া ছোট-বড় ট্রাক, কাকড়া গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। ঈদের সময় চাপও বেড়েছে। পাটাতন দেবে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উঠলেও কাত হয়ে যাচ্ছে, যাত্রী ভয় পায়।
এবিষয়ে জানতে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলমকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, 'বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানলাম। সেতুটি আমাদের স্টাফ পরিদর্শন শেষে মেরামত করবেন। পাশের সেতুর কাজ দ্রম্নত শুরু হবে।'