আদালতে মামলা নিয়ে তোলপাড়
ধামরাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা মৃত ব্যক্তির!
প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের কালিদাসপট্টি গ্রামে প্রায় ছয় বছর আগে মারা যাওয়া এক বৃদ্ধের নামে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করেছেন এক পোশাককর্মী। তিনি গত ৩ এপ্রিল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল ৯ নম্বর আদালতে পিটিশন মামলাটি করেন, যার নং ৯১/২০২৪। এই মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তি তিন নম্বর আসামি। আর এই মামলার সাক্ষী হয়েছেন একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও বাদিনীর স্বামী মনির হোসেনসহ কয়েকজন। এ ঘটনা গত মঙ্গলবার প্রকাশ পেলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের কালিদাসপট্টি গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী বকুল আক্তার একজন গর্ামেন্টকর্মী। কারখানা ছুটি শেষে হেটে বাড়িতে আসছিলেন। এ সময় মৃত ব্যক্তি হোসেন, খোরশেদ আলম, আলীমুদ্দিন ও সোহেল তাকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় উঠিয়ে পাশের ফাঁকা স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন ধর্ষণের চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল আদালতে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন বকুল আক্তার। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করতে সিআরপিসির ১৭৩ ধারা রিপোর্ট প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলার বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হলে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করায় ক্ষীপ্ত হন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, কালিদাসপট্টি গ্রামের হোসেন মারা গেছেন প্রায় ছয় বছর আগে। তাকে দাফন করা হয়েছে কালিদাসপট্টি কেন্দ্রীয় করবস্থানে। তাহলে একজন মৃত মানুষ কীভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
হোসেন আলীর স্ত্রী রুবিয়া খাতুন জানান, 'আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় ছয় বছর হয়েছে। তিনি কীভাবে এ ধরনের কাজ করতে পারেন। আসলে ওই মেয়েটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান জানান, মামলার তিন নম্বর আসামি প্রায় ছয় বছর আগে মারা গেছেন। বিষয়টি গ্রামের সবাই জানে।
তবে এই মামলার এক নম্বর সাক্ষী বকুল আক্তারের স্বামী মনির হোসেন জানান, ঘটনা সত্য, তাই মামলা করা হয়েছে। তবে মৃত ব্যক্তিকে আসামির বিষয়ে তিনি বলেন, হয়তবা টাইপে ভুল হতে পারে।