কিশোরগঞ্জের হাওড়ে নতুন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক
প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও নিকলীসহ আশপাশের হাওড়ের ইরি-বোরো জমি থেকে ধান কাটছেন কৃষকরা। তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তি থাকলেও এবার ইরি-বোরো জমির ধান গতবারের তুলনায় একরপ্রতি ১০ থেকে ২০ মণ বেশি উৎপাদন হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার আছানপুর, হুমাইপুর, আয়নারগোপ, বাহেরবালী হাওড়সহ কয়েকটি হাওড়ে ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর পহেলা বৈশাখের ২ থেকে ৩ দিন আগে থেকে হাওড়ে ইরি-বোরো ধান কাটা হচ্ছে। প্রতি একরে ৮০-১০০ মণ করে ধানের ফলন হয়েছে। কৃষকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তির হাসি। কাঁচা ধান প্রতি মণ কৃষকরা ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা মণ দরে বক্রি করছেন। পাইকাররা জমি থেকে বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন এই ধান।
কৃষকরা বলেন, এ বছর প্রতি একর জমির পানির এন্ট্রি ফিস ছিল ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। এই দামে ধান বিক্রি করতে পারায় নতুন ধান শুকিয়ে তাদের ঘর পর্যন্ত তুলতে প্রতি একরে বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা আরও বলেন, জমি তৈরি করতে গিয়ে অনেক এনজিও মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছ থেকে চড়াসুদে টাকা এনে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন অনেক কৃষক। তাই মধ্যস্বত্ব ভোগীরা অর্ধেকেরও বেশি ধান নিয়ে যায়। ফলে তাদের বছরের খোরাক ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এরপরও জমির ধান ফলিয়ে বাম্পার ফলন পেয়ে ঘরে তোলা পর্যন্ত তারা খুশি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এ জেলার কয়েক লাখ একর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ফলার সম্ভাবনা রয়েছে।