কাজিপুরে রবি মৌসুমের মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতওয়ারী রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসল বিশেষ করে লাভজনক মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা অল্প মূলধনের লাভজনক মসলা জাতীয় আবাদে ঝুঁকছেন। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দেওয়া অর্থে বিগত ৫ বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে লাভজনক মসলা জাতীয় আবাদ উলেস্নখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি মৌসুমে স্থানীয় জাতের রসুন আবাদ হয়েছে ৭৬ হেক্টর। হেক্টর প্রতি ৭.৯০ মেট্রিকটন হিসেবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০০ মেট্রিকটন। এছাড়া ধনিয়া ২০ হেক্টর উৎপাদন ১৯ মেট্রিকটন, কালোজিরা ৩০ হেক্টর উৎপাদন ২৭ মেট্রিকটন, মৌরি ২০ হেক্টর উৎপাদন ১৮ মেট্রিকটন এবং তিসি ৮ হেক্টর, উৎপাদন ৮ মেট্রিকটন, জাউন ৫ হেক্টর উৎপাদন ২ মেট্রিকটন ধরা হয়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এর বাইরে রবি মৌসুমে দেশি ও উন্নত জাতের ৪৫০ হেক্টর জমিতে খেসারির আবাদে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৫৮৪ মেট্রিকটন, বাদাম ৯০৫ হেক্টর উৎপাদন ১৬৭৪ টন, মসুর ৩২০ হেক্টর উৎপাদন ৩৭০ টন, মরিচ ৪৪০ হেক্টর উৎপাদন ১০৭৭ টন, মিষ্টি আলু ১০২ হেক্টর উৎপাদন ১৯২৯ টন, ডাটি পেঁয়াজ ১১৪ হেক্টর উৎপাদন ৯৪০ টন এবং বীজ পেঁয়াজ ১৩৮ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ১৩৩৭ .৫০ মেট্রিকটন। কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ার কৃষক ওমর আলীসহ বেশ কিছু কৃষককে জিঙ্গাসাবাদে তারা জানান, অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে পর্যায়ক্রমে লাভজনক রবি ফসলের আবাদ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।