যাত্রীদের সন্তোস প্রকাশ
চরভদ্রাসনে প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়েনি ভাড়া
প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর মৈনট নৈাপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঈদ ফেরত ঢাকাগামী যাত্রীরা। চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে এ ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, গোপালপুর-মৈনট নৈাপথ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাট হিসেবে পরিচিত। তবে বিভিন্ন উৎসবের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এ ঘাটটি নিয়ে। বিশেষ করে দুই ঈদের তিন-চারদিন আগে ঘরমুখী মানুষের চাপ থাকে দোহরের মৈনট অংশে আর ঈদ শেষে যাত্রীর চাপ বাড়ে গোপালপুর অংশে। আর সে সুযোগটাই নিয়ে থাকে একটা বিশেষ শ্রেণি। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঈদের আগে মৈনট ঘাটে যাত্রীদের কাছ হতে স্পিট বোটে ১৫০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা লঞ্চে ৭০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। তবে ঈদের পর থেকে গোপালপুর অংশ দিয়ে ঢাকাগামী যাত্রীরা আগের ভাড়ায় যেতে পারছেন।
১৫ এপ্রিল সোমবার মৈনট অংশে সৃষ্ট সমস্যার কারণে স্পিড বোট বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে একটি পক্ষ। যা ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হতো। তবে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম তাদের অনৈতিক দাবিকে প্রশ্রয় না দিলে এক পর্যায়ে তারা নির্ধারিত ভাড়াতেই আবার স্পিড বোট চালু করেন।
সদরপুরের আকোটের চর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদের আগের দিন তিনি দুশ' টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। তবে যাওয়ার সয়য় বেশি নিচ্ছে না, এটা খুব ভালো লেগেছে তার। তিনি বলেন, প্রশাসনের সুষ্ঠু তৎপরতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে তার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় স্পিট বোট মালিকরা খালি বোট আনতে হয় জানিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দাবি করে। কিন্তু এ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার যাত্রীদের কথা ভেবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ভবিষ্যতেও গোপালপুর অংশ দিয়ে চলাচলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে না।