চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটেখাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ঠিকমতো ফিরতে পারছেন না।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এ সময় রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সূর্য একেবারে পাটে পড়ার আগ পর্যন্ত।
এর আগে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ। বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৩ শতাংশ। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পালস্না দিয়ে তাপমাত্রাও পারদ বেড়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ৩৭-৩৮ ডিগ্রির তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও জানান, এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।