রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৩২ বছর আগে সাতরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাইকোর্টের রায়

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
৩২ বছর আগে সাতরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাইকোর্টের রায়

রাজধানীর সাতরাস্তায় ১৯৯২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা করে ট্রাফিক বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে শুধু মিনিবাস চালকের সাজা হয়। সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন বাসচালক সেলিম। ৩২ বছর পর হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রাখেন।

২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রম্নয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। সোমবার এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আ. জলিলের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস দ্রম্নতগতিতে ও বেপরোয়াভাবে চালিত হয়ে একটি বেবিটেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে বেবি চালকসহ যাত্রীরা আহত হন। এক যাত্রী ও চালক হাসপাতালে ভর্তি হন। মিনিবাস চালক পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকালে বেবি চালক কলিমউদ্দিন মৃতু্যবরণ করেন। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।

পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ৩৫৬৯ দিন পর এ আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ মো. মমিন উলস্নাহ।

পরে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রম্নয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।

সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে