যৌতুক মামলায় আটকের পর স্বামীর আপস, ১৫ দিন পর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃতু্য
প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে যৌতুক মামলায় জেলে থাকার ১০ দিন পর স্বামীর সঙ্গে আপস হয় গৃহবধূ শরিফা খাতুনের (২০)। এর ১৫ দিন পর স্বামীর বাড়িতে ওই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্য হয়।
সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে পুলিশ আটক করেছে। গৃহবধূ শরিফা খাতুন ওই গ্রামের মো. শোভ মিয়ার স্ত্রী। স্বামীসহ স্বজনদের দাবি, শরিফা ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, এই দম্পতির ঘরে ২ বছর বয়সি একটি ছেলে আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। বিরোধের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। স্ত্রীর মামলায় স্বামী শোভ ১০ দিন জেল খেটে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছেন। আনুমানিক ১৫ দিন আগে শরিফাকে বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন শোভ। এরপর সোমবার সকালে ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।
শরিফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেন, রাতে একই ঘরে স্বামী-সন্তান অবস্থান করছিলেন। সকালে ঘুম ভাঙলে স্বামী দেখতে পান ঘরের আড়ার সঙ্গে শরিফার মরদেহ ঝুলছে। পরে তিনি স্বজনদের ডেকে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মানিক মিয়া বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না। পুলিশ আসার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া গলায় ফাঁসির দাগও দেখা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। সেখানে স্বামী ও স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। লাশের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি।