মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, 'অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তাদের হাতে উপহার তুলে দিয়েছি। মৃতু্যর আগের দিন পর্যন্ত এই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে চাই।'
ফরিদপুরের বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিম্ন আয়ের লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গভীর রাতে মন্ত্রী শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, দুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ঈদের আগে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে ঘুরে ঘুরে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের হাতে তিনি এসব ঈদ উপহার তুলে দেন। গভীর রাতে মন্ত্রীর হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হন অসহায় মানুষ। আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে থাকা ছিন্নমূল মানুষের হাতে তুলে দেন শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধ। তিন উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ডেকে তুলে তাদের হাতে তুলে দেন ঈদসামগ্রী। ঈদের আগের দুই দিন এভাবে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।
গভীর রাতে এভাবে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এবং তার হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় মানুষগুলো।
মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, 'নিজের চোখের সামনে মন্ত্রীকে প্রথম দেখলাম। তার হাত থেকে উপহার পেয়েছি। পরিবারের সবাই খুশি।' সড়কের পাশে ছোট্ট খুপরি ঘরে থাকেন সাহেব আলী। তাকেও ডেকে তুললেন মন্ত্রী। সাহেব আলী মন্ত্রীকে দেখে অবাক, তাও এত রাতে। তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে বলে জানালেন সাহেব আলী। তিনি বলেন, 'মন্ত্রীকে ভোট দিয়েছিলাম, না দেখে। এবার তাকে প্রথমবার সামনে দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগছে, তার হাত থেকে ঈদের উপহারও পেলাম। আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।' চলতি পথে দেখা আসমা বেগমের সঙ্গে। গাড়ি থামিয়ে মন্ত্রী তাকে ডেকে তার হাতে তুলে দিলেন শাড়ি। আসমা বেগম আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, 'শুধু টিভিতে আর পোস্টারে তাকে দেখেছি। সামনে আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম।'
শুধুমাত্র আসমা বেগম, সাহেব আলী, রাশেদা বেগমই নয়, রাতে ঘুরে ঘুরে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে মন্ত্রী তুলে দিয়েছেন ঈদ উপহার।