ঈদে ঘরেফেরা মানুষের ফিরতি পথেও বিড়ম্বনা
প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে যারা শত বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বাড়িতে আসেন, ঈদের আনন্দ শেষ হতে না হতেই কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে একই বিড়ম্বনার মুখে পড়েন।
এ রকম কর্মস্থলে ফেরা মানুষের বিড়ম্বনা দেখা যায় সোমবার সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে ও দূরপালস্নার বাস কাউন্টারগুলোতে। বাস ও রেলের টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে অনেকে ট্রেনে দাঁড়িয়ে, লোকাল বাস ও ট্রাকে উঠে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান।
ট্রেনযাত্রীরা বলেন, ট্রেনের ভেতর সিটের থেকেও বেশি মানুষ দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছেন। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় নানা বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে তারা কর্মস্থলে যাচ্ছেন। ফুলবাড়ী রেলস্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার বলেন, এই রোডে প্রতিদিন ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন যাতায়াত করে, এর মধ্যে খুলনা-চিলাহাটিগামী ২ জোড়া, চিলাটি-রাজশাহীগামী ৩ জোড়া, চিলাহাটি-ঢাকাগামী এক জোড়া, পঞ্চগড়-ঢাকাগামী ৩ জোড়া, কুড়িগ্রাম-ঢাকাগামী এক জোড়া। এর মধ্যে ফুলবাড়ীতে পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি নেই।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, ফুলবাড়ী রেলস্টেশনটি কয়েকটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল ও যোগাযোগের সুবিদার্থে এই স্টেশনে সারা বছরে ট্রেনযাত্রীদের ভিড় থাকে। এ ছাড়া ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের সন্নিকটে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র, মধ্যপাড়া পাথর খনি এবং উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বিনোদনকেন্দ্র স্বপ্নপুরি হওয়ায় এই স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও ঈদ আসলে এই ভিড় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণে পৌঁছে।
এদিকে দূরপালস্নার বাস কাউন্টারগুলোতেও একই অবস্থা, ফুলবাড়ী-ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন ১০০-১৫০টি দূরপালস্নার বাস নিয়মিত যাতায়াত করে। কিন্তু ঈদে বহুসংখক মানুষ ছুটিতে আসায় যাত্রীর সংখ্যা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে লোকাল বাস ও ট্রাকে চড়ে কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে মানুষদের।
ঈদের ছুটিতে আসা আজাহার আলী বলেন, তিনি ঈদের একদিন আগে ছুটিতে এসেছেন। ১৬ তারিখে কাজে যোগ দিতে হবে। অথচ এসে দেখেন ১৫ তারিখের কোনো টিকিট নেই। এখন তাকে লোকাল বাসে অথবা ট্রাকে যেতে হবে। একই কথা বলেন, আবু হোসেন নামে এক গার্মেন্টকর্মী। তিনি এসেছেন ১০ তারিখে। ১৬ তারিখে ফিরতে হবে। বাসের টিকিট না পেয়ে এখন বিকল্প উপায় খুঁজছেন।
কাউন্টার মালিক ও শ্রমিক নেতা সেকেন্দার আলী দুলাল বলেন, সাধারণ যাত্রীর তুলনায় ঈদের সময় বাড়তি যাত্রী আসে। এ কারণে বাসের টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে যায়। এ ছাড়া অনেকে এখন অনলাইনে টিকিট বুক করে, সে ক্ষেত্রে কাউন্টারের কিছুই করার থাকে না।