ঈদে নতুনরূপে সেজেছে মিরপুর চিড়িয়াখানা
প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীবাসীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হলেও বিভিন্ন উৎসব আমেজে এই বিনোদন কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবারে ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রের মতো চিড়িয়াখানায় বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চিড়িয়াখানাকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের আগমন এবং সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাঁচটি বিভিন্ন উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সরেজমিন মিরপুর চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানাকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। নানা রঙে রাঙানো হচ্ছে চিড়িয়াখানার দেয়াল, বেষ্টনী, বিভিন্ন গাছের গোড়া। চিড়িয়াখানার ভাঙা খাঁচা ও শেড নতুন করে সংস্কার ও স্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাঁচা ও শেডে নতুন করে বেষ্টনী দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য চিড়িয়াখানার ভেতরে আরও ৫০টির মতো ডাস্টবিন তৈরি করা হচ্ছে।
ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় নতুন করে একটি ক্যান্টিন চালু হবে। আরেকটি পুরনো ক্যান্টিন বড় পরিসরে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। এ দুটির একটি ক্যান্টিন থাকবে চিড়িয়াখানার ভেতরে শিশু পার্কে এবং আরেকটি ক্যান্টিন থাকবে সেলফি জোনে। অন্যান্য ক্যান্টিনের মতো এখান থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে খাবার খেতে পারবেন আগত দর্শনার্থীরা।
এবারের ঈদে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, 'দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানা বরাবরের মতোই প্রস্তুত। এবারে ঈদে রং করে চিড়িয়াখানা নতুন রূপে সাজিয়েছি। ঈদের সময় দর্শনার্থীদের যেন কোনো জটলা তৈরি না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে রেখেছি। আমাদের চিড়িয়াখানার পশুগুলোকে সুস্থ রাখার জন্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেগুলো এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছি।'
এবারের ঈদে নতুন কোনো প্রাণী দর্শনার্থীদের জন্য যুক্ত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এবারের ঈদে নতুন কোনো প্রাণী আসেনি। তবে এবারে আমরা যেটা করছি, আমাদের তিনটা বাঘের বাচ্চাকে যা আগে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেছিলাম, এ ঈদে বকুল, কসমস ও চন্দন নামে এ বাচ্চাগুলোকে দর্শনার্থীদের উপভোগের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।'
সূত্র মতে, মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা সাধারণ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হলেও বিভিন্ন উৎসবে ছুটির দিন উপলক্ষে দর্শনার্থীর সমাগম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে।