কেরানীগঞ্জে তৈরি হতো নকল ভ্যাকসিন ও অ্যান্টিবায়োটিক
প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
শুধু হেপাবিগ নয়, ভিটামিন ডি৩ অ্যাম্পুল ইনজেকশন, রেসোগাম পি, ক্লোপিকজল ডিপোর্ট, ফ্লুয়ানজল ডিপোর্ট, হেপাবিগ হেপাটাইটিস বিসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি নকল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরি করত তারা। আর এসব ওষুধ ব্যবহারে সাধারণ মানুষের জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটছে।
রাজধানীর কোতোয়ালি ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নকল ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরির অভিযোগে চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার ঢাকায় এক বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় কয়েক লাখ নকল ওষুধ, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি টাকারও বেশি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আনোয়ার হোসেন (৪৪), অসিম ঘোষ (৪৬), মো. মশিউর রহমান ওরফে মিঠু (৩৮) ও নূরনবী (৩৫)।
সোমবার দুপুরে মিন্টু রোডে ডিবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ।
তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে ডিবি পুলিশের অভিযানে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধসহ একটি বড় চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে, তাদেরই সহযোগী মিটফোর্ড থেকে ওষুধের কাঁচামাল সংগ্রহ করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ইনজেকশন তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল।'
ডিবি প্রধান বলেন, চক্রটি টিটেনাস দিয়ে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন বানাতো, ভিটামিন বি৩ বানাচ্ছিল এক্টুপিস সকেট দিয়ে এবং ক্লোপিকজল বানাচ্ছে ইন্ডিয়ান ড্রাইকিজাম এ্যাম্পুল দিয়ে। তারা এই ওষুধগুলো নকল বানিয়ে অধিক লাভে বিক্রি করছে। তারা টিটেনাস ১০ টাকা দিয়ে কিনে হেপাবিগ বানিয়ে ৪৬০০ টাকায়, ক্লোপিকজল ৫টাকা দিয়ে বানিয়ে ডেনমার্কের ওষুধ বলে বিক্রি করছে ৪৫০ টাকা। গর্ভবতী নারীদের প্রয়োগ করা হয় রোসোগাম পি। এটা যেসন গ্রম্নপের একট্রোপিন ১০ টাকা দিয়ে কিনে রোসোগাম বানিয়ে সাড়ে চার হাজার টাকা বিক্রি করত তারা। এভাবে চক্রটি বিভিন্ন ওষুধ নকল করে বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, এসব নকল ওষুধের কার্যকারিতা না থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো সেবা পেত না, বরং নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতো। তারা এমনভাবে এসব ওষুধ হুবহু প্যাকেজ করত, সাধারণ মানুষের চেনার উপায় নেই কোনটা নকল আর কোনটা আসল।